স্বদেশ ডেস্ক:
গাজা উপত্যকায় স্থল হামলা অব্যাহত রাখার বিপদ সম্পর্কে ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। বিবৃতিতে গাজাবাসীদেরকে ‘আমাদের ভ্রাতৃপ্রতীম ফিলিস্তিনি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
এতে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জীবনের প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী ইসরাইলের স্থল অভিযানের নিন্দাও জ্ঞাপন করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের ভ্রাতৃপ্রতীম ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন নির্লজ্জ ও অযৌক্তিকভাবে লঙ্ঘন অব্যাহত রাখার বিপদ সম্পর্কে সৌদি আরব হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে।’
ইসরাইল গাজায় তাদের সামরিক অভিযান সম্প্রসারণ করার কথা ঘোষণা করার প্রেক্ষাপটে সৌদি আরব এই বিবৃতি প্রদান করল।
গাজায় ভূগর্ভস্থ ১৫০ স্থাপনা লক্ষ্য করে ইসরাইলের বিমান হামলা
ইসরাইলি বিমানবাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ ১৫০টি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের ইতিহাসে দেশটি ভয়াবহ হামলার শিকার হওয়ার তিন সপ্তাহ পর রাতে গাজায় ব্যাপক অভিযান চলাকালে তারা এসব হামলা চালায়। শনিবার সেনাবাহিনী এ কথা জানিয়েছে।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিমান হামলা চালানো স্থানগুলোর মধ্যে ‘সন্ত্রাসী হামলা চালাতে ব্যবহার করা বিভিন্ন সুড়ঙ্গ পথ, ভূগর্ভস্থ যুদ্ধের স্থান এবং ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো রয়েছে। এসব হামলায় আরো অনেক হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছে।’
গাজা উপত্যকা এবং ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থানরত সাংবাদিকরা শনিবার গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলা অব্যাহত থাকার কথা জানান।
পৃথক এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের এক অভিযানে হামাস বিমান হামলার প্রধান আসাম আবু রাকাবা নিহত হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ৭ অক্টোবর ইসরাইলে চালানো হামাসের হামলায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আর এই হামলা তাদের মধ্যে যুদ্ধের সূচনা করে।
ইসরাইল বলেছে, ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে হামাসের চালানো ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে ১,৫০০ জন নিহত হয়েছে। হামাসের হামলায় নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রথম দিনে তাদের নির্বিচারে গুলি করে ও পুড়িয়ে মারা হয়। এছাড়া তারা ২২০ জনেরও বেশি লোককে আটক করে।
গাজায় হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৭,৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। এদের বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানায়, আবু রাকাবা হামাসের ড্রোন হামলা এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেখভাল করতেন।
সূত্র : আল জাজিরা, এএফপি ও অন্যান্য